লাইব্রেরি শব্দটি শুনলে আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে স্তরে স্তরে সাজানো গোছানো বইয়ের বড় সমাহার। অর্থাৎ লাইব্রেরি হলো বই সংরক্ষণের ভাণ্ডার।
বর্তমান যুগে লাইব্রেরির প্রয়োজনীয়তা তারাই অনুভব করতে পারে যারা শিক্ষিত সমাজ-পরিবেশে বসবাস করে এবং শহরে উচ্চতর লেখাপড়া করে। তাই লাইব্রেরি গড়ে ওঠে কেবল কিছু শহরে, বেশিভাগ শহুরে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেই লাইব্রেরি দেখা যায়। তবে কিছু সচেতন মানুষের উদ্যোগে গ্রামগঞ্জে, মফস্বল স্কুল-কলেজেও লাইব্রেরি নির্মিত হয়েছে তা স্বীকার করতে হয়। তবে সেটা তুলনামূলক অনেক কম।
আর আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে লাইব্রেরি নেই বললেই চলে। সরকারিভাবে জেলাভিত্তিক পাবলিক লাইব্রেরি নির্মাণ করা হলেও নেই প্রয়োজনীয় বই। লাইব্রেরিগুলো সারাবছর তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকে। যার কারণে শিশু-কিশোররা পাঠ্যবই ছাড়া অন্যকিছু পড়ার সুযোগ পায় না। নতুন জ্ঞানের সন্ধান মেলে না, জ্ঞানের জগৎ থেকে অনেক দূরে রয়ে যায়।